এমএনএ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বাংলাদেশকে ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং শান্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) মহাসচিব ইউসেফ বিন আহমাদ আল-ওথাইমিন।
শনিবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য ও জমকালো অনুষ্ঠানমালার চতুর্থ দিনের ভিডিও বার্তায় তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সম্মানিত অতিথি ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিন এবং ফরাসি সিনেটর ও ইন্টার পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ ফর সাউথ ইস্ট এশিয়ার প্রেসিডেন্ট জেকোলিন ডেরোমেডি।
ওআইসি মহাসচিব বলেন, ‘এখন বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে একটি অনন্য উদাহরণ। মুসলিম বিশ্বের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছে তারা। আমি বাংলাদেশের এই সুন্দর মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।’
ওথাইমিন বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছিল। ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বাংলাদেশকে ওআইসির সদস্য হিসেবে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে জাতির জনক ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন এবং বাংলাদেশ ও মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরিতে ভূমিকা রেখেছিলেন।’
ওআইসি মহাসচিব বলেন, ‘তখন থেকে ইসলামিক দেশগুলোর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মধুর। মুসলিম বিশ্বের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে ওআইসি মহাসচিব বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসেও তার কন্যা শেখ হাসিনা বৈষম্যহীন ও শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছেন।’