Don't Miss
Home / খেলাধূলা / ক্রিকেট / ২৬০ রানে অলআউট বাংলাদেশ

২৬০ রানে অলআউট বাংলাদেশ

এমএনএ স্পোর্টস ডেস্ক : সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন ২৬০ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ ১১ বছর পর টেস্টে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এই সিরিজে থাকা দু’দলের কোনো খেলোয়াড়ই আগে একে অন্যের বিপক্ষে টেস্ট খেলেননি।

দুঃস্বপ্নের শুরুর পর সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দুর্দান্ত প্রতিরোধ। এরপর হঠাৎ ছন্দপতন। এবার মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসির হোসেনের প্রতিরোধ। এরপর অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া। শুরু আর শেষের হতাশাজনক ব্যাটিংয়ে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

শুরুতে বিপর্যয়, মাঝখানে প্রতিরোধ তারপর আবারও সেই অসহায় আত্মসমর্পণ। এক লাইনে এটাই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে টাইগারদের পারফরমেন্স। ১০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর সাকিব-তামিমর দুর্দান্ত জুটি ম্যাচে ফিরিয়েছিল বাংলাদেশকে। এই দুজন আউট হওয়ার পর আর কেউ দায়িত্ব নিতে পারেনি। মাঝে এক পশলা বৃষ্টি এসে থেমে গেলেও উইকেট বৃষ্টি থামল না। তাই একদিনেই নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬০ রানে অলআউট হল বাংলাদেশ।

এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ব্যাটিং শুরুতেই দুমড়ে-মুচড়ে দেন অজি পেসার প্যাট কমিন্স। দিনের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১০ রানে সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দুটি বাউন্ডারির সাহায্যে তিনি ৮ রান করেন। কমিন্সের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে গালিতে থাকা পিটার হ্যান্ডসকম্বের হাতে ধরা পড়েন এই তরুণ ওপেনার।

চতুর্থ ওভারে আবারো বল হাতে আসেন কমিন্স। যথারীতি তার করা পঞ্চম বলে উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েডের গ্লাভসে ক্যাচ দেন ইমরুল কায়েস (০)। পরের বলেই সেই ওয়েডের গ্লাভসবন্দি হয়ে কমিন্সের তৃতীয় শিকার হন সাব্বির রহমান (০)। ১০ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন দুই বন্ধু তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান।

দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ৯৬ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় বাংলাদেশ। লাঞ্চ শেষে ৬৫ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার। অন্যপ্রান্তে ধীরস্থিরভাবে অসাধারণ ব্যাটিং করছেন তামিম ইকবাল। ৫০ রান করতে তিনি খেলেছেন ১১৯ বল। ২ চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ৩টি ছক্কা।

তামিম ওপেনিংয়ে নামলেও রান তোলার দিকে তাকে ছাড়িয়ে যান সাকিব। পাশাপাশি গড়ে ফেলেন একটি রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৫০তম টেস্টে ফিফটি করলেন তিনি। এর আগে মোহাম্মদ আশরাফুল ১২ রান করেছিলেন। সেটাই এতদিন বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ ছিল।

তবে হাফ সেঞ্চুরিটাকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করতে পারলেন না তামিম ইকবাল। ১৪৪ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৭১ রান করে অফস্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়লেন তিনি। তামিমের বিদায়ের সাথে শেষ হলো দলীয় ১০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ১৫৫ রানের অসাধারণ জুটি।

সাকিবও বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের তালুবন্দী হলেন। শেষ হলো ১৩৩ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ৮৪ রানের ইনিংসটি। ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই বন্ধুর কেউই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন না। দুই তারকাকে হারিয়ে আবারও বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ভরসা ছিলেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আর দীর্ঘদিন পর টেস্ট দলে ফেরা নাসির হোসেন। কিন্তু ভাগ্য যেন আজ টাইগারদের পক্ষে ছিল না।

৫০ বলে ১৮ রান করে ৪ বছর পর অজি দলে ফেরা স্পিনার অ্যাস্টান অ্যাগারের শিকার হলেন টাইগার ক্যাপ্টেন। রিভিউ নিয়েও লেগ বিফোর উইকেটের সিদ্ধান্ত ফেরানো গেল না। অপর প্রান্তে লড়তে থাকা নাসির হোসেনের সঙ্গী হলেন তরুণ অল-রাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। এমন সময় হানা দিল বৃষ্টি। আধঘণ্টার মত খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়।

বৃষ্টি শেষে ১৮ রান করে নাথান লায়নের শিকার হন মেহেদী মিরাজ। পারেননি নাসিরও। ২৩ রান করে অ্যাস্টনে অ্যাগারের শিকার হন তিনি। আম্পায়ার প্রথমে এলবিডাব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে নাসিরকে ফেরায় অজিরা। নাথান লায়ন ফেরান তাইজুলকে (৪)। আর শফিউল ইসলাম (১৩) অ্যাগারের তৃতীয় শিকার হলে ২৬০ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৭৮.৫ ওভারে ২৬০ (তামিম ৭১, সৌম্য ৮, ইমরুল ০, সাব্বির ০, সাকিব ৮৪, মুশফিক ১৮, নাসির ২৩, মিরাজ ১৮, তাইজুল ৪, শফিউল ১৩, মুস্তাফিজ ০*; হেইজেলউড ০/৩৯, কামিন্স ৩/৬৩, লায়ন ৩/৭৯, অ্যাগার ৩/৪৬, ম্যাক্সওয়েল ১/১৫)।

x

Check Also

টেস্টে বাংলাদেশ ২-০ ম্যাচে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে

এমএনএ খেলাধূলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ২-০ ম্যাচে হেরেছে। ২৩১ রানের মামুলি টার্গেট ...